পুইশাকে কি এলার্জি আছে - পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

এলার্জি জাতীয় খাবার কি কি ও সাধারণত যাদের অ্যালার্জি জনিত বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তাদের এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।তাইতো আজকের আর্টিকেলে পুঁইশাকে কি এলার্জি আছে ও পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করতে চলেছি। তাই চলুন পুইশাকে কি এলার্জি আছে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পুইশাকে-কি-এলার্জি-আছে
কেননা আজকে আর্টিকেল থেকে আমরা পুঁইশাকের বিচির উপকারিতা, পুই শাক খাওয়ার অপকারিতা, পুইশাকে খেলে কি গ্যাস হয়, পুইশাকে কি ভিটামিন আছে ও গর্ভাবস্থায় পুইশাক খাওয়া যাবে কি তা জানতে পারবেন।তাই এই পোস্টটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে পৈশাখী কি এলার্জি আছে ও পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিব।
পোস্ট সূচিপত্র:পুইশাকে কি এলার্জি আছে।পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

ভূমিকা।পুইশাকে কি এলার্জি আছে।পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

পুইশাকে কি এলার্জি আছে এ বিষয়গুলোর সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।কারণ আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই জানে না পুইশাকে কি ধরনের এলার্জি সমস্যা রয়েছে।বিশেষ করে আপনার যদি কোন খাবারের প্রতি এলার্জি জনিত সমস্যা থেকে থাকে অর্থাৎ কোন খাবার খেলে এলার্জির সমস্যা হবে এ বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করতে চলেছি পুইশাকে কি এলার্জি আছে ও পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।এছাড়াও আপনারা জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় পুঁইশাক খাওয়া যাবে কি, পুইশাক এর ইংরেজি নাম, পুঁইশাকের বিচির উপকারিতা, পুঁইশাকের বৈজ্ঞানিক নাম সহ বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

পুঁই শাকের বিচির উপকারিতা

পুঁই শাক আমরা সবাই খেয়ে থাকি এবং পুঁই শাকের বিচি সম্পর্কে অনেকে জানি এটি খেতে খুব সুস্বাদু হয়। আপনারা যদি পুঁই শাকেট বিচির উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকে আমাদের আটিকেল থেকে জেনে নিনি পুঁই শাকের বিচি উপকারিকা।

কাঁচা অবস্থায় পুঁইশাকের বিচির রং সবুজ এবং পাকলে নীলচে কালো রঙের দেখায়। এই পুঁইশাকের বীজের মধ্যে রয়েছে ফলিক এসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, আয়রন ও জিংকের মত উপকারী সব উপাদান।

পুইশাকের বিচি নিয়মিত খেলে রক্তের ফ্যাট বাড়ার সংখ্যা কমে যায়। এটি রক্তের ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে রাখে।
পুইশাকের বিচি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পাকস্থলী কিংবা বিভিন্ন ক্যান্সার রোগ উপশমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য পুইশাকের বিচি খাওয়া অনেক বেশি উপকারী কারণে এটি রক্তের গ্লুকোজ এর মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে পারে।

পুষ্টিবিদদের মতো, মৌসুমের বাকি সব খাবারের মতো খাদ্য তালিকায় পুঁই শাকের বিচি খাওয়া উচিত এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

পুঁইশাক খাওয়ার অপকারিতা

পুঁইশাক খাওয়ার ফলে অনেক উপকার পাওয়া যায় আমরা আগেই জেনেছি কিন্তু পুঁইশাক হওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে কি আপনারা জানেন। পুঁইশাক একটি সবজি হিসেবে আমরা জানি পুইশাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকার কারনে এইটির রক্তস্বল্পতা দূর করতে পারে।

তবে পুইশাক খাওয়ার অপকারিতা ও রয়েছে পুঁইশাক খাওয়ার ফলে যে সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম হলো পুইশাকের মধ্যে কিছু ভিটামিন রয়েছে যা খাবার ফলে অনেকের এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়।এছাড়াও কিছু কিছু মানুষের এই বৈশাখ খেলে সমস্যা হয় কারণ পুইশাকে রয়েছে অক্সালেটস।
আরো পড়ুনঃ
এটি যদি গ্রহণ করা হয় তাহলে শরীরের তরল পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যায়।ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে এছাড়া পুইশাকে রয়েছে পিউরিন নামক উপাদান। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরে ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পায়।ফলে এর নানান ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে যেমন কিডনিতে পাথর হতে পারে, গেটে বাদ হতে পারে। 

আপনারা যদি এরকম ভয় থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পৌঁছে খাবেন। পুইশাকে বেশিরভাগ এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় যার কারণে যাদের পয়সা খাওয়ার ফলে এলার্জি দেখা দেয় তারা অবশ্যই পুঁইশাক খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।তাই নিচে অনুচ্ছেদ থেকে পুইশাকে কি এলার্জি আছে তা জেনে নিব।

পুইশাকে কি এলার্জি আছে

যারা পুঁইশাক খেতে পছন্দ করেন তারা কিন্তু অবশ্যই আগে জেনে নিবেন আপনার পুইশাকে কি এলার্জি আছে বা সমস্যা দেখা দিচ্ছে কিনা কারণ পুইশাকের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা এলার্জি দেখা দিতে পারে।

পুঁইশাক বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবেও কাজ করে এবং এটি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার পুঁইশাক গ্রাম অঞ্চলে অধিক পরিমাণ দেখা যায় এবং গ্রাম অঞ্চলের উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে।পুইশাক যেমন  একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ স্যার যেটা সবাই খেতে পছন্দ করে এবং এই পুঁইশাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ক্যালসিয়াম রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
পুইশাক খাওয়ার ফলে অনেকের এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই যদি পুঁইশাক খাওয়ার ফলে আপনারা শরীরে এলার্জির লক্ষণ গুলো দেখা যায়। চুলকানি, র‍্যর্শ হয় তাহলে কিন্তু আপনি পুঁইশাক খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

কারণ পুইশাকের মধ্যে রয়েছে পিউরিন নামক উপাদান। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরে ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পায়। শরীরে তরল পদার্থ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং এলার্জিরও সমস্যা হতে পারে।

পুইশাকে কি ভিটামিন আছে

পোশাক অত্যন্ত ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি স্বাদ যার কারণে আপনারা যদি পুঁইশা খেয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাদের শরীরে অনেক ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে পুঁইশাকে কি ভিটামিন আছে সে সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানতে চেয়েছেন। ও যাক প্রচুর ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি স্বাদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন-সি, লোহা ও ক্যালসিয়াম রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
আমিষের পরিমাণ রয়েছে অনেক বেশি এছাড়াও পুইশাকের মধ্যে আশের পরিমাণ রয়েছে প্রচুর। ঐ লতা যাতে উদ্ভিদ ওই গাছের পাতা ও data শাক হিসেবে খাওয়া হয় বলে সচারচর একে পুঁইশাক বলা হয়। এটি নরম বহুশাখাযুক্ত উদ্ভিদের মাংসলো লতা দ্রুত বাড়ে দৈর্ঘ্য দশ মিটার হতে দেখা যায় পুঁইশাকের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে এবং এটি সারা বছরই কমবেশি বাজারে পাওয়া যায়।

পুইশাকে প্রচুর পরিমাণে আজ বা ফাইবার আছে বলে পাকস্থলী ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এছাড়াও পুই শাকের মধ্যে ভিটামিন এ থাকার কারণে দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে এবং ভিটামিন সি থাকার কারণে ত্বকের রোগ জীবাণু দূর করে এবং চুল মজবুত করতে পারে।

পুইশাকের মধ্যে আন্টি গুণ রয়েছে শরীরের কোন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ভুলে গেলে পুইশাকের শিকড় বেটে লাগালে দ্রুত উপশম হয়। যাদের প্রায় প্রতিদিনই মাথা পেতে থাকে নিয়মিত পুইশাক খেলে তারা উপকার পাবেন।

পুইশাকে খেলে কি গ্যাস হয়

পুইশাক বর্তমানে সহজ একটি সবজি যার কারণে পুঁইশাক সকলেই খেয়ে থাকে পুইশা খেলে কি গ্যাস হয় সম্পর্কে আপনাদের অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আসলে পুইশাকের উপকারিতা অনেক অপকারিতা নেই বললেই চলে তবে পুইশা খেলে গ্যাস হয় না বরং এটি গ্যাসের বিরুদ্ধে কাজ করে অর্থাৎ পুঁইশাক খেলে গ্যাস্টিকের মতো সমস্যা দূর হয়।
আরো পড়ুনঃ
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পুইশাক খাওয়ার জলে কোন গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয় না। পুঁইশাক পুষ্টি সমৃদ্ধ হয় এটি শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণ করতে সহায়তা করে থাকে শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করার সাথে সাথে এটি ত্বকের সতেজ রাখতে পারে শুধু যে পুঁইশাকের উপকারিতা রয়েছে।

এমন না পয়সা খাওয়ার ফলে কিছু সমস্যা হতে পারে তবে সেই সমস্যাগুলো খুবই সামান্য। হজমে পোশাক ভাল কাজ করে বদহজম, গ্যাস, এসিডিটি সমস্যা দূর করে থাকে পুই শাক। এর ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে আপনাদেরকে মুক্তি দিতে পারে শরীর থেকে বজ্র খারাপ পদার্থগুলো বের করে দেয়।

পুইশাক এর ইংরেজি নাম

পুঁইশাক প্রচুর পরিমাণে সহজলভ্য একটি শাক। বাঙ্গালীদের জনপ্রিয় শাক। তবে আপনারা কি জানেন পুঁইশাকের ইংরেজি নাম কি। পুঁইশাক এর ইংরেজি নাম হল মালাবার স্পিনাচ ( Malabar Spinach)। জায়গা বিশেষে একে ভাই স্পিনাচ (Vine Spinach) বা বাসেল্লা স্পিনাচ (Basella Spinach) ও বলে।
আরো পড়ুনঃ
পুইশাকে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বকের রোগ জীবাণু দূর করে এবং শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভিটামিন এ এর ফলে চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে সেই সঙ্গে চুল মজবুত করে পুঁইশাক নিয়মিত খেলে পাযইলস, ফিস্টুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুবই কম।

পুইশাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার থাকে যা পাকস্থলী ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন কতটা উপকারী একটি সবজি।

পুইশাকের বৈজ্ঞানিক নাম

পুইশাকে একটি উপকারী সবজি হওয়ার কারণে প্রায় সকলের পুঁইশাক খেতে পছন্দ করি আমরা পুঁইশাক দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করলেও অনেক সুস্বাদু হয়। আপনারা কি জানেন পুঁইশাকের বৈজ্ঞানিক নাম সম্পর্কে। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষায় কিন্তু পুইশাকে বৈজ্ঞানিক নাম কি সেই সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে চলুন আজকে জেনে আসি বৈজ্ঞানিক নাম।

পুঁইশাক বৈজ্ঞানিক নাম: Basella alba

পুই শাক এক ধরনের লতা জাতীয় সবজি এবং পুই শাকের পাতা ও লতা শাগ হিসেবে খাওয়া হয় বলে সচরাচর একে পুঁইশাক হিসেবে বলা হয়। এটি Basellaceae পরিবারভুক্ত বহুবর্ষজীবী উষ্ণ মণ্ডলীয় গাছ। পুঁঔশাক সাধারণত বসত বাড়িতে আঙ্গিনার বেড়ায় বা মাচায় জন্মাতে দেখায়।

পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করে জানাবো আমাদের বাঙালিদের একটি প্রবাদে রয়েছে মাঠের মধ্যে রুই, শাকের মধ্যে পুঁই। দেশের জনপ্রিয় সুস্বাদু পুষ্টিকর অনেক ধরনের শাখের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পুঁইশাক বাজারে সবসময় কম বেশি পুঁইশাক পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ
ইলিশ মাছ ও পুঁইশাক এবং চিংড়ি মাছের সাথে পুঁইশাক এটি বাঙ্গালীদের অতি জনপ্রিয় একটি খাবার অনেক পুষ্টিগুনে ভরা এবং ভিটামিনসমৃদ্ধ এই পুঁইশাক যেমন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে আবার ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও বেশ কার্যকর। পুই শাক আমাদের চারপাশে প্রচুর পরিমাণে হয় বাড়ির আঙিনাতে এই শাক লাগানো যায়।

ছোট্ট একটি বনে যে পরিমাণ পুঁইশাক হয় তাতে আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, সি এবং এ যা বিভিন্ন রকমের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের শরীরে তৈরি করে। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
পুঁইশাক এবং পুঁইশাকের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আয়রন যা আমাদের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহযোগিতা করে। এছাড়া পুঁইশাক এ রয়েছে ফলিক এসিড পটাশিয়াম জিংক এবং খনিজ পদার্থ যা আমাদের শরীরের এনার্জি এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

যারা ওজন কমাতে চান তারা কিন্তু অবশ্যই পুঁইশাক খেতে পারেন পুঁইশাকে ঢাকা ভিটামিন সি আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সহযোগিতা করে এটি মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়াকে সহজ করে ক্যালোর ক্ষয় করতে সাহায্য করে।

পুইশা খাওয়ার ফলে শুক্রাণুর সক্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পায়। পুই শাকের মধ্যে থাকা ফলিক এসিড জিংক আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শুক্রাণুকে সুস্থ সবল রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
  • পুইশাকে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি যা আমাদের স্বার্থপর চুল এবং ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
  • পুইশাকের মধ্যে রয়েছে থাকা ভিটামিন আমাদের শরীরের পটাশিয়াম শরীরের সোডিয়াম এর মাত্রা ঠিক রাখে যার ফলে ব্লাড প্রেসার সঠিক থাকে।
  • পুইশাকে রয়েছে ভিটামিন কে আমাদের হাড় শক্ত করতে সাহায্যযোগীতা করে এই ভিটামিন কে।
  • আমাদের চোখ ভালো রাখতে পুইশাকে থাকা বিটা ক্যারোটিন লুটেইন আর এইসব উপাদান চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে কার্যকরী।
  • বাড়ন্ত বয়সের নিয়মিত পুইশাক খাওয়ালে শিশুদের বৃদ্ধি ভালো হয়। কারণ পুইশাকের মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল ও প্রোটিন যা শিশুদের বেড়ে উঠার জন্য দরকারী।
সবুজ পুঁইশাকে রয়েছে ক্লোরোফিল গবেষণা করে গবেষকরা বলেছেন এই ক্লোরোফিল কিন্তু কার্সিনোজেনিক প্রভাব আটকাতে খুব ভালো কাজ করে। যার ফলে ক্যান্সার রোগ হয় রোধ হয়।
আরো পড়ুনঃ
অপকারিতা: পুঁইশাকের কিছু অপকারিতা রয়েছে যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে বেশি পরিমাণে এইসব খেলে এলার্জির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে পুঁইশাকের সমৃদ্ধ হওয়া এটি গ্রহণ করলে আমাদের শরীরে তরল পদার্থের অক্সলেটস এর পরিমাণ বেড়ে যায় এর ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

পুঁইশাক পিউরিন নামক উপাদান রয়েছে যা অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে শরীরে ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে গেটে বাদ, কিডনিতে পাথর ইত্যাদি রোগ হতে পারে। কিডনি এবং পিত্তথলির বিভিন্ন সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা অবশ্যই পুইশাক খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

গর্ভাবস্থায় পুঁইশাক খাওয়া যাবে কি

গর্ভবতী নারীরা পুঁইশাক খেতে পারবে কিনা সেই সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই পুঁইশাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যার কারণে পুঁইশা খাওয়া সকলেরই দরকার পুই শাখা অনেকেরই প্রিয় খাবার এটি পুরো বছরই পাওয়া যায় ছাদের পাশাপাশি একটি গুনেও একটি অনন্য শাক। নিয়মিত পুইশা খেলে প্রচুর পরিমাণে উপকার পাওয়া যাবে।

এছাড়াও যারা গর্ভবতী নারী তারা পুইশা খেললে অনেক উপকার পাবেন কারণ পুঁইশাকের মধ্যে রয়েছে আয়রন যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে পারে। পুইশাকে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি ও ফ্যাট থাকে এটা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ঘুনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। পুইশাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকাই এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
আরো পড়ুনঃ
প্রতি 100 গ্রাম পুইশাকে দিনে চাহিদার শতভাগেরও বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায় ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পুইশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি৬, ফলিক এসিড এবং রিবোফ্লোবিন পাওয়া যায় গর্ভাবস্থায় এই শাক নিয়মিত খেলে গর্ভস্থ শিশুর নার্ভ ভালো থাকে।

পুইশাকে বিভিন্ন ধরনের খনিজ থাকে যেমন পটাশিয়াম ম্যাঙ্গানিকেল ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার থাকে এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে গর্ভবতী নারীর। গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা প্রায় সকলেরই দেখা দেয় আপনি যদি নিয়মিত পুঁইশাক খান তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে আরাম পাবেন।
FAQ।পুইশাকে কি এলার্জি আছে।পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রশ্নঃ পুইশাক এর ইংরেজি নাম কি?
উত্তরঃ পুঁইশাক এর ইংরেজি নাম হল মালাবার স্পিনাচ ( Malabar Spinach)। জায়গা বিশেষে একে ভাই স্পিনাচ (Vine Spinach) বা বাসেল্লা স্পিনাচ (Basella Spinach) ও বলে।
প্রশ্ন ০২ঃ পুইশাকের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উত্তরঃ পুঁইশাক বৈজ্ঞানিক নাম: Basella alba 
প্রশ্ন০৩ঃ পুইশাকে কি এলার্জি আছে?
উত্তরঃ পুইশাক খাওয়ার ফলে অনেকের এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই যদি পুঁইশাক খাওয়ার ফলে আপনারা শরীরে এলার্জির লক্ষণ গুলো দেখা যায়। চুলকানি, র‍্যর্শ হয় তাহলে কিন্তু আপনি পুঁইশাক খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

শেষ কথা।পুইশাকে কি এলার্জি আছে।পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

আপনারা যদি আমাদের আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে আসেন তাহলে অবশ্যই পুঁইশাকে কি এলার্জি আছে ও পুইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনার এলার্জির জনিত সমস্যার খাবারের মধ্যে একটি তা জানতে পেরেছেন।
আরো পড়ুনঃ 
এই পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা আপনার মূল্যবান মতামতটি আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন এছাড়াও আপনি যদি নিত্য নতুন আপডেট আর্টিকেল পেতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url