গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ তা জেনে নিন

 
প্রিয় পাঠক আপনি কি গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ এবং গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না এ বিষয় সম্পর্কে জানেন?যদি না জেনে থাকেন তবে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ এ বিষয়ে সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য জেনে নিন।
গর্ভাবস্থায়-কোন-কোন-ফল-খাওয়া-নিষেধ
এছাড়াও আপনি এই আর্টিকেল পড়ে গর্ভাবস্থায় লাল আঙ্গুর খেলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় কালো আঙ্গুর খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে তা জানতে পারবেন।তাই অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ ও গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না।
পোস্ট সূচিপত্র: গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ।গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

সূচনা।গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ।গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

প্রিয় বন্ধুরা অনেকেই আছেন যারা প্রথম গর্ভবতী।এমন অবস্থায় কিন্তু প্রথম গর্ভবতীদের বিভিন্ন খাবার সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত।কারণ প্রথম অবস্থায় অনেকেই জানেনা কি কি ফল খাওয়া উচিত, কি কি সবজি খাওয়া উচিত, এবং গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ।তাই অনেকেই গর্ভাবস্থায় ভুলক্রমে ক্ষতিকারক ফল বা সবজি খেয়ে ফেলার কারণে গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
তাই আজকের আর্টিকেলে সকল সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা আলোচনা করতে চলেছি গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ, গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না এবং গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না। এছাড়াও এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে গর্ভ অবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে এমন সকল প্রশ্নের উত্তর রয়েছে।যেগুলা সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন।

গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ

গর্ভধারণের পর থেকে কিন্তু নানা রকম প্রশ্ন থাকে সেই নারী মনে কারণ গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের ফল খাওয়া উচিত এবং গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ সেই সম্পর্কে জানতে হবে। চিকিৎসকদের মতে, গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাসে খাদ্য তালিকায় ফলিক এসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিংক, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার তালিকায় রাখতে হবে।

এসব পুষ্টি উপাদান আপনার ভ্রণের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে এবং বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটি রোধে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে কি খাবেন সেটা জানার পাশাপাশি যে সকল ফল খেলে শরীরে বা বাচ্চার ক্ষতি হয় সেই সকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।এজন্য নিচের পয়েন্ট গুলো রয়েছে গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। 
পেঁপে: আধা কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে ল্যাটেক্স যা গর্ভপাতের জন্য দায়ী। এটা কেবল পাকস্থলীতে ব্যথাই সৃষ্টি করে না পাশাপাশি গর্ভের সন্তানের ক্ষতি করে। এই সময় পেঁপে না খাওয়াই ভালো। অন্যথায় তা ব্যথা ও গর্ভপাত ঘটাতে পারে।

আনারস: আনারস একটা টক মিষ্টি ফল এতে থাকা ব্রোমেলাইন নামক উপাদান। জরায়ুর পথকে কোমল করে যা প্রারম্ভিক ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। আনারস খাওয়া গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে।
আঙুর: গর্ভবতী নারীদের জন্য আঙুর খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বিশেষত শেষের তিন মাসে। এতে থাকা রেসভেরাট্রল নামক যৌগ হরনোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে। আঙুরে আছে তাপ উৎপাদনকারী উপাদান যা মা ও শিশু ক্ষতির কারণ হতে পারে।

হিমায়িত ফল: হিমায়িত ফলে সংরক্ষক ব্যবহার করে স্থায়ীত্ব বাড়ানো হয় এবং এটা কোনোভাবেই গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রযোজ্য নয়। হিমায়িত ও ' ক্যানজাত' ফল তাজা নয় এবং এটা অনেক ক্ষেত্রে শিশুর জন্য বিষাক্ত হতে পারে। গর্ভবতী মায়ের তাজা ও মৌসুমী ফল খাওয়া সবচেয়ে ভালো উপায়।আশা করছি আপনি গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ তা জানতে পেরেছেন। তাই এবারে আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না।

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

একজন গর্ভবতী নারীর জন্য গর্ভাবস্থার সময়টা বেস জটিল হয়। এই সময় অনেক কিছু উপর বিধি নিষেধ থাকে। তাই আপনারা যারা নতুন মা হতে যাচ্ছেন তারা অবশ্যই জেনে নিবেন গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না।

গর্ভধারণ হল এমন একটি সম কোন নারীর শরীরে মধ্যে এক বা একাধিক সন্তানের প্রাণের সঞ্চয় হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় খাদ্যভ্যাসে বেশি কিছু পরিবর্তন আনা বাঞ্ছনীয়। এসব পরিবর্তন জীবন ধারার সাথে সংশ্লিষ্ট। গর্ভাবস্থায় মায়ের কি কি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত সেই সম্পর্কে জানতে হবে।

করলা: মানুষের স্বাস্থের জন্য করলা খুব গুরুত্বপূর্ণ হলেও গর্ভাবস্থায় করলা ক্ষতির কারণ হতে পারে। করলায় থাকা গ্লাইকোলাইসিস, সেপোনিক,মারোডিসিন নামক পদার্থ গর্ভবতী মহিলার অনেক ধরনের উপসর্গের সৃষ্টি করে এতে ক্ষতি হতে পারে সন্তানেরও।
কাঁচাপেঁপে: গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের পেঁপে না খাওয়ায় ভালো।আধা কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে ল্যাটেক্স যা গর্ভপাতের জন্য দায়ী। এটা কেবল পাকস্থলীতে ব্যথাই সৃষ্টি করে না পাশাপাশি গর্ভের সন্তানের ক্ষতি করে। এই সময় পেঁপে না খাওয়াই ভালো। অন্যথায় তা ব্যথা ও গর্ভপাত ঘটাতে পারে।

সজিনা: সজিনাতে রয়েছে আলফা সিটেষ্টেরল নামক এক ধরনের উপাদান। যা অনেক সময় গর্ভাপাত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটি অনেক পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্য সম্মত খাবার হলেও গর্ভাবস্থায় এটা না খাওয়া উচিত।
কাঁচা মুলা: কাঁচা মুলা এবং রেডি টু সালাদ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এগুলোতে লিসটেরিয়া, সালমোনিলা ও ই. কোলির মতো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।

অ্যালোভেরা: গর্ভকালীন সময়ে অ্যালোভেরা খাওয়া উচিত নয়। অ্যালোভেরার খাদ্য উপাদান সমূহ গর্ভপাত পর্যন্ত ঘটতে পারে। আমরা অনেকেই সৌন্দর্যচ্চায় জন্য বা পেট পরিষ্কার করতে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খায়। তবে মা ও সন্তানের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে এটা না খাওয়া উচিত।

বেগুন: মাছের তরকারি রান্না করছেন। বেগুন ছাড়া হয়ত ভাবাই যায় না। কিন্তু যাদের শরীরে কোন এলার্জি সমস্যা আছে তাদের কিন্তু বেগুন খেলে সমস্যা বৃদ্ধি পায়। গর্ভাবস্থায় ও বেগুন খাওয়ার ফলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। গর্ভবতী মহিলা বেগুন খেলে ঋতুস্রাব হতে পারে তার জন্য এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

গর্ভাবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কিন্তু মাছ খাওয়া অনেক উপকারী তবে যেসব মাছ ক্ষতি করে সেই সব মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে তার কারণে গর্ভবতী মায়ের থেকে পূরণ করবে মাছ।গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়ার ব্যপারে লক্ষ রাখতে হবে এবং কিছু কিছু জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
একজন গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়ার ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং কিছু কিছু জিনিস খাওয়া থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে যেমন মাছ খাওয়া বিষয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় রয়েছে যে গর্ভবতী নারীরা কি কি মাছ খেতে পারবেন না গর্ভ অবস্থায় কি কি মাছ খাওয়া যাবে না সে সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো।

যেসব মার খেয়ে মিথাইল মার্কারির পরিমাণ বেশি আছে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সেই সব মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন হাঙ্গর, কিং ম্যাকেরেল, সোর্ডফিশ বা তলোয়ার মাছ এবং টাইল ফিশ গর্ভাবস্থায় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কারণ মিথাইল মার্কারির হলো একটি নিউরোটিক্সিন, যখন এটা বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা বা খাওয়া হয় তখন স্নায়ুতন্তের ক্ষতি করে। এছাড়া সুশী, সিভিচ এবং সাশিমিসহ হিমায়িত করে রাখা স্মোকোড ফিসগুলি লিস্টারিয়ার এড়িয়ে চলতে হবে।

গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে

গর্ভধারণের প্রথম দিকে কিন্তু বিশেষ কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলে। যার কারণে গর্ভধারণের প্রথম দিকে তেঁতুল খাওয়া বা তেতুলের তৈরি খাবার পছন্দ করলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয় এতে আপনার গর্ভপাত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে বেশি তেঁতুল খাওয়া গর্ভধারণের পর শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
আরো পড়ুনঃ 
বিশেষত প্রথম ট্রাইমাস্টারে অতিরিক্ত তেঁতুল খাওয়া উচিত নয়। তেঁতুল মায়ের শরীরের প্রোজেস্টেরন হরমোনের উৎপাদন অনেকটাই কমিয়ে দেয়। এর কারণে তেতুল অত্যাধিক মাত্রায় থাকা ভিটামিন সি রয়েছে।

আর প্রোজেস্টেরনের উৎপাদন কমে গেলে শিশুর সময় এর আগে জন্ম অর্থাৎ প্রিটার্ম বার্থের আশঙ্কা বেড়ে যায়। এছাড়াও মায়ের গর্ভপাত হতে পারে এর পাশাপাশি অত্যাতিক ভিটামিন সি ব্রণের কোষ নষ্ট করে দিতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় পরিমিত পরিমাণে তেঁতুল খেতে পারেন অত্যাধিক সবকিছুই খারাপ এটি বেশি খেলে আপনার গ্যাসের সমস্যা, বদ হজম হতে পারে।
  • প্রতিদিন না খাওয়াই ভালো তেতুল তবে ১০ গ্রামের বেশি খাবেন না।
  • সকালে খালি পেটে একেবারে তেতুল খাওয়া যাবে না।
  • যদি খেতেই হয় তাহলে খাবার গ্রহণের আধঘন্টা পর অল্প পরিমাণে তেঁতুল খেতে পারে।
  • আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন তেঁতুল খাওয়ার ফলে কি ক্ষতি হতে পারে গর্ভাবস্থায়। তাই নিজের ও অনাগত সন্তানের জন্মের জন্য তেঁতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়া যাবে কি

আমরা প্রায় শুনতে পাই যে গর্ভাবস্থায় কাঁচ কলা খাওয়া যাবে কিনা সে সম্পর্কে। আসলে গর্ভবতী নারী কি কি খাবার খাওয়া যাবে এবং কি কি খাবার খেলে সমস্যা হবে সেই সম্পর্কে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে কারণ গর্ভাবস্থায় অনেক কিছু মেনে চলতে হয়।গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া নিরাপদ কিন্তু এই ফলটি খাওয়ার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
কলায় পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বিসহ বিভিন্ন রকমের ভিটামিন, মিনারেল এ ভরপুর রয়েছে। এতে প্রথম পরিমাণের ড্রায়েটারি ফাইবারও থাকে। যে মহিলারা গর্ভবতী নয় তাদের তুলনায় গর্ভবতী মহিলাদের বেশি বেশি ফাইবার খেতে হয়।

কারণ ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত ফাইবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য অন্যান্য হজমে সমস্যা হতে পারে যার কারণে আপনারা অবশ্যই পরপর অবস্থায় কলা খাবেন কিন্তু পরিমিত পরিমানে।
  • গর্ভাবস্থায় কলা খেলে কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম সহ বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল যা আপনার স্বাস্থ্যকে আরও বেশি সুস্থ রাখে।
  • যাদের মর্নিং সিগনেচার হয় তারা কিন্তু গর্ভাবস্থায় কলা খেলে বমি বমি ভাব কমবে এবং মর্নিং ফিটনেস কমে যাবে।
  • গর্ভবতী নারীদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হলে নিয়মিত কলা খেতে পারেন এতে আপনার গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার দূর হবে।
  • বুক জ্বালাপোড়ায় সাহায্য করে কলা কারণ কলার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টাসিড। এটি গ্যাস্ট্রাইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিস হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে।
ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কলা। কারণ কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে তাই ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন এবং এটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটে অংশ হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কালো আঙ্গুর খাওয়া যাবে কি

একজন গর্ভবতী নারী দিয়ে বিভিন্ন রকমের খাবার খাওয়া থেকে মানা থাকে গর্ভ অবস্থায় কালো আঙ্গুর খাওয়া যাবে কিনা সে সম্পর্কে আপনারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন আজকে আপনাদেরকে আমরা জানাবো গর্ভাবস্থায় কালো আঙ্গুর খাওয়া যাবে কিনা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
আরো পড়ুনঃ
এটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অনেক বিশেষজ্ঞরা বলেন, গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ এবং অন্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই সময়ে এই ফলটি এড়িয়ে চলাই ভালো। যদি আঙ্গুর আপনার খুব প্রিয় হয় তাহলে নিজ বিবেচনা অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।

কিন্তু খালি পেটে আঙ্গুর খাবেন না অথবা এসিড রিফ্লেক্স থাকলে মোটেও খাবেন না যেসব কারণে গর্ভাবস্থায় আঙ্গুল না খাওয়ার কথা বলা যেতে পারে।
  • আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে রেসভিরাট্রোল থাকে। এই কেমিক্যালটি মা হতে যাওয়া নারীদের জন্য বিষাক্ত হতে পারে।
  • গর্ভবতী নারীদের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হয় তাদের দুর্বল পরিপাক তন্ত্রের কালো আঙ্গুরের খোসা হজম করতে পারে না।
  • বেশি পরিমাণে আঙ্গুর খেলে এসিডিটি, বমি ভাব ও বমি হতে পারে অত্যাধিক আঙ্গুর খেলে পাতলা পায়খানা অথবা ডাইরিয়াও হতে পারে।
আশা করি আমরা আপনাদেরকে জানাতে পেরেছি কাল আঙ্গুর গর্ভাবস্থায় খেলে কি সমস্যা তৈরি হতে পারে। শিশুর ও মায়ের সুস্থতা জন্য সকল কিছু মেনে চলতে হবে।

গর্ভাবস্থায় লাল আঙ্গুর খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় নারীদের স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। এই সময়ে নারীরা শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে এই পরিস্থিতিতে ছোট বড় প্রতিটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় লাল আঙ্গুর খাওয়া নিয়ে বিভিন্ন রকমের মতবাদ রয়েছে। গর্ভাবস্থায় লাল আঙ্গুল খেলে কি হয় সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছে অনেকেই।

প্রত্যেকটা নারী গর্ভবতী হওয়ার পর বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন জাগে মনের মধ্যে কোন খাবারগুলো খেলে শিশুর জন্য পুষ্টি বেশি পাবে সেটা জানা কিন্তু জরুরী। আঙ্গুরে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অরগানিক এসিড, ফাইবার ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান থাকে।
আরো পড়ুনঃ
এছাড়াও আঙ্গুরে ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা গর্ভাবস্থায় পেশির ক্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মহিলারা একদিনে কেবলমাত্র এক বাটি আঙ্গুর খাওয়া উচিত। আপনি এটি আপনার ডায়েটে সকাল বিকাল অথবা দুপুরে রাখতে পারেন। 

গর্ভাবস্থায় লাল আঙ্গুর খাওয়া খুব উপকারী। লাল আঙ্গুরে ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর বৈশিষ্ট্য রয়েছে।এটি খেলে রক্তের অভাব দূর হয় পাশাপাশি পেশি, হাড় মজবুত হয়। তাই যারা গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খাওয়া নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা কিন্তু খেতে পারেন কারণ এটি খাওয়ার ফলে আপনার আয়রনের অভাবে দূর হবে।

লাল আঙ্গুর অনেক পুষ্টিরে ভরপুর এবং গর্ভাবস্থায় অনেক সমস্যা সৃষ্টিও হতে পারে যার কারনে অবশ্যই আঙ্গুর সীমিত পরিষদে খেতে হবে এছাড়া ও অতিরিক্ত আঙ্গুর খাওয়ার ফলে ভ্রূণের বৃদ্ধি প্রবাহিত হতে পারে।

শেষ কথা।গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ।গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেল এর মূল আলোচনার বিষয় ছিল গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া নিষেধ ও গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না।আপনারা যদি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই এ বিষয়ে সম্পর্কে ইতিমধ্যে জানতেও বুঝতে পেরেছেন।আশা করি আজকের আর্টিকেল আপনারা অনেক উপকারে আসবে।
আরো পড়ুনঃ 
এই পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা আপনার মূল্যবান মতামত অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন।এছাড়াও আপনি যদি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা মূলক বিভিন্ন ধরনের আপডেট আর্টিকেল পেতে চান তবে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন এবং আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url