ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা - ১০টি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যখন ঘি-মিষ্টি চিনি মধু গুড় লজেন্স আইসক্রিম সব রকমের
মিষ্টি স্বাদযুক্ত খাবার নিষিদ্ধ রয়েছে।এমন আরো অনেক নিষিদ্ধ খাবার রয়েছে যে
সকল খাবার সম্পর্কে আপনার নিশ্চয়ই অজানা রয়েছে।তাহলে আপনি এই পোস্ট থেকে
ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা ও দ্রুত ১০টি ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই অনলাইনে সার্চ করে ইতিমধ্যে খোঁজাখুঁজি করছেন
ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা ও দ্রুত ১০টি ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে।তবে আপনি আমাদের আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা গুলো জানতে
পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার
তালিকা।দ্রুত ১০টি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
উপস্থাপনা।ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা।দ্রুত ১০টি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
ডায়াবেটিসের রোগীর খাবার তালিকায় নিষিদ্ধ খাবার নেই এমন খাবার খুব কমই
রয়েছে।ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর পানীয়, তেলেভাজা সিঙ্গারা, কুচুরি,
চপ, কাটলেট চিনি, মধু, গুড়, মিষ্টি, ধি মধু, এমন বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে দূরে
থাকাই ভালো।
আরো পড়ুনঃ
কারণ এ সমস্ত খাবার থেকে ডায়াবেটিস বেশি হয়।তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি
গুরুত্বপূর্ণ ডায়াবেটিস রোগী নিষিদ্ধ খাবার তালিকা প্রয়োজন।যে খাবার তালিকায়
ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা উল্লেখ থাকবে এমনই এক ভিন্ন খাবার
তালিকা নিয়ে আমাদের আজকের এই পোস্টে আলোচনা করতে চলেছি।
আপনারা অনেকেই ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চেয়ে
থাকেন।তাই আপনাদের সুবিধার্থে এ আর্টিকেলে আমরা আরো
দ্রুত ১০টি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়, কি কি খেলে ডায়াবেটিস
হয় না, কোন বয়সে ডায়াবেটিস বেশি হয়, ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়, এবং
ডায়াবেটিস কত হলে ওষুধ খেতে হবে এ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে
পারবেন।আশা করি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা
আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাকে কিছু বিষয় খেয়াল
রাখতে হবে ডায়াবেটিস এমন একটি মরণব্যাধির রোগ যা কখনোই ভালো হয় না তবে খাদ্য
অভ্যাস এর পরিবর্তন আনলে এটি নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব।
আপনার যদি খাদ্য অভ্যাস এর পরিবর্তনে প্রয়োজন হয়।
সে ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে একটু একটু করে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন একবারে
পরিবর্তন আনতে পারবেন না। একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস আপনার ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা করবে সাথে সাথে আপনার প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দিবে
এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে আপনারা সুস্থ থাকবেন।
ডায়াবেটিসের রোগীদের অতিরিক্ত চর্বি লবণ ও চিনি যুক্ত খাবার এইসব যত কম খাওয়া
যায় ততই ভালো কিন্তু আমরা জানি সব সময় এসব খাওয়া এড়িয়ে চলা সম্ভব নয় তাই
আপনি আপনার শরীরের ওপর এগুলো কি ধরনের প্রভাব ফেললে সেই সম্পর্কেও ধারণা রাখবেন।
এইসব খাবারের মধ্যে রয়েছে বিস্কুট চকলেট কেক আইসক্রিম মাখানো অতিরিক্ত চিনি
দেওয়া কোমল পানীয়।
আরো পড়ুনঃ
এইসব খাবারও পানি হতে প্রচুর ক্যালরি রয়েছে এবং এরা রক্তে সুগারের মাত্রা অনেক
গুণ বাড়িয়ে দেয় তাই চিনিমুক্ত কম ক্যালোরি বিকল্প খুঁজে নিতে হবে। সবচেয়ে
ভালো উপাদায় পানীয় হলো পানি এতে কোন ক্যালরি নাই। এগুলোতে অস্বাস্থ্যকর
সেচুরেটেড ফ্যাট ও প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে।
তাই এগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং আপনার হার্টের স্বাস্থ্য কমিটির জন্যও
ভালো নাই।এইসব খাবার বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর লবণ থাকে অতিরিক্ত
লবণ উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকেও অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিসের
রোগীদের মোট একটা চামচের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়।এছাড়াও নিচে ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা কিছু পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলো।
- সম্পূর্ণভাবে বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন এটা আপনি কি পরিমান লবণ খাচ্ছেন তা সঠিকভাবে খেয়াল রাখতে পারবেন।
- দোকানে মসলা মিক্স না কিনে বাড়িতে বিভিন্ন সস ও মেরিনেট করা মসলা তৈরি করে খান।
- খাবারের সাথে কাঁচা লবণ খাওয়া বন্ধ করে দিন এর পরিবর্তে গোল মরিচের গুঁড়া এবং অন্যান্য মসলা ভর করে স্বাদের নতুনত্ব আনতে পারেন।
- তুমি ছাড়া চার কফি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে এগুলো ফলের জুস বা ইসমুদুর থেকে ভালো কারণ তাতে অতিরিক্ত শর্করা বা ক্যালোরি থাকে না।
দ্রুত ১০টি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
ডায়াবেটিসের রোগীরা কিন্তু দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চায় আসলে
ডায়াবেটিস হলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার ভিত্তি বেড়ে
যায় অনেক সময় কোন লক্ষণছাড়া বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।
আরো পড়ুনঃ
তাই এইসব স্বাস্থ্য জটিলতা সনাক্ত করতে ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত চেকআপে থাকা
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চেকআপের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা সে সম্পর্কে
জানতে পারবেন ফলে সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন। দ্রুত ১০টি ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো।
- প্রথম উপায় : ডায়াবেটিস নিয়ে কিভাবে সুস্থ থাকা যায় সেই সম্পর্কে ধারণা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- জীবনধারণের কি ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে
- কি ধরনের খাবার খেতে হবে
- ডায়াবেটিসের ওষুধ কিভাবে খেতে হবে
- ইনিসুলিন কিভাবে নিতে হবে
- ঘরে বসে কিভাবে রক্তের সুগারের পরিমাপ করতে হবে
- কখন রক্তের সুগার পরিমাপ করতে হবে
- কখন হাসপাতালে যেতে হবে
- রোগী নিজস্ব জীবনধারা এইসব পরিবর্তন আনা সবচেয়ে কার্যকর উপায় গুলো কি
ডায়াবেটিসের রোগীকে এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে ডাক্তার আপনার সবচেয়ে ভালো
পরামর্শ দিতে পারে তাই তার সাথে আলোচনা করে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
দ্বিতীয় উপায় : ডায়াবেটিসের এবিসিস (ABCs) কিভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে
সেই ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিন । A-B-C-s দিয়ে যা বোঝানো হয়।
- A: HbA1C সংক্ষেপে A1C পরীক্ষা
- B: Blood Pressure বা রক্তচাপ
- C: Cholesterol অর্থাৎ রক্তের চর্বির পরিমাণ
- s: smoking বা ধুমপান অর্থাৎ ধূমপান ত্যাগ করার উপায়।
- এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্টোক সহ ডায়াবেটিসের অন্যান্য জটিলতা ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
তৃতীয় উপায় : ডায়াবেটিসের সাথে মানিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা হয়তো
অনেক কঠিন মনে হয় এটাও কিন্তু অসাধ্য নয় এই নিয়ে খারাপ অনুভব করা অস্বাভাবিক
নয় তবে ডায়াবেটিসের কারণে আপনি মানসিক চাপে ভুগলে সেটি রক্তের সুগার আরো
বাড়িয়ে দিতে পারে তাই মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ।
- মনোযোগ সহকারে গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া।
- হাঁটাচলা করা যেমন বাড়ির ছাদে বা পার্কে।
- পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবের সাথে সময় কাটানো।
- ইয়োগা বা যোগ ব্যায়াম করা।
- শখের কাজকর্ম করা বা পছন্দের গান শোনা।
- ধ্যান বা মেডিকেশন করা।
- বাগান করা।
যদি মনমরা লাগে তাহলে কারো সাহায্য চাইতে সংবাদ করবে না আপনার অনুভূতি অন্যদের
জানানোর মাধ্যমে আপনি ভালো বোধ করতে পারেন তাই আপনার উদ্যোগের কথাগুলো মনোযোগ
দিয়ে শুনবে এমন পরিবারের সদস্য বন্ধু বা আত্মীয়র সাথে কথা বলতে পারেন প্রয়োজনে
ডাক্তারের এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
চতুর্থ উপায় : রোগীদের বছরে কমপক্ষে দুইবার ডাক্তার দেখানো উচিত
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ও জটিলতা ঝুঁকি কমানোর জন্য এই চেকআপ করা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ এর ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও সমস্যা দ্রুত শনাক্ত করে আগেভাগে
চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যায়। তাই নিয়মিত ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায়
ডায়াবেটিস কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আজকে আপনাদেরকে জানাবো একটি স্বাস্থ্যকর
খাবার তালিকা মেনে চলতে হবে এবং পর্যাপ্ত শরীর চর্চা করতে হবে এতে যদি ডায়াবেটিস
কমানো না যায় তাহলে ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে। চলুন জেনে আসি ডায়াবেটিস
কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
খাবার: স্বাস্থ্যকর ও সুষম ডায়েটের জন্য আপনাকে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যকর
খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। একই সাথে কিছু খাবার অবশ্যই পরিণত
পরিমাণে খেতে হবে যেমন চিনি লবণ ও চর্বি জাতীয় খাবার। এইসব খাবার যতটুকু না
খেলেই নয় ঠিক ততটুকু খাওয়া উচিত খাবার সময়মতো খাবেন কোন বেলার খাবার যেন বাদ
না পরে। স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে হবে।
ব্যায়াম: নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম রক্তে সুগারের পরিমাণ কমাতে সাহায্য
করবে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে আড়াই ঘন্টা ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে হবে। সপ্তাহের
যেকোনো পাঁচ দিনে মাত্র তিরিশ মিনিট করে ব্যায়াম করলে সপ্তাহে আড়াই ঘন্টা
শারীরিক পরিশ্রম করা যাবে।
আরো পড়ুনঃ
ওষুধ: যদি পর্যাপ্ত পরিমানে ব্যায়াম এবং সুষম খাদ্য তালিকা ডায়াবেটিস
কমানো না যায় তাহলে আপনার ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
রাখতে একেকজনের একেক ধরনের এবং একের দোষের ওষুধ খেতে হয় এমনকি একাধিক ওষুধ
সমন্বয় করেও সেবন করতে হতে পারে।
আবার অনেক ডায়াবেটিসের সরানোর জন্য ইনসুলিন এর প্রয়োজন হতে পারে। আপনার জন্য
কোন ওষুধটি সঠিক তা আপনার ডাক্তার আপনাকে জানাবে ওষুধগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে ও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আশা করি আপনারা আজকের আমাদের আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছেন ডায়াবেটিস কমানোর
ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে এটি আপনার সঠিকভাবে জীবন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কমানো
সম্ভব।
ডায়াবেটিস কত হলে ওষুধ খেতে হবে
সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকতে হলে কিন্তু অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে ডায়াবেটিস
কত হলে ওষুধ খেতে হবে সে সম্পর্কে কিন্তু আপনাকে জানতে হবে। ডায়াবেটিস এমন একটি
রোগ যা রক্তের সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বাড়িয়ে দেয় ইনসুলিন
নামের একটি হরমোন আপনার রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
এই হরমোনটি পাকস্থলের পেছনে থাকা অগ্ন্যাশয় বা প্যানক্রিয়াস নামের একটি গ্রন্থি
থেকে তৈরি হয় যখন খাবার পরিপাক হয়ে আপনার রক্তে প্রবেশ করে তখন এই ইনসুলিন রক্ত
থেকে সুগারকে কোষের ভেতর ঢুকিয়ে সেটাকে ভেঙ্গে শক্তি উৎপাদন করে। কিন্তু
ডায়াবেটিস হলে আপনার দেহের সুগার তথা গ্লুকোজ কে ভেঙ্গে এভাবে শক্তি উপাদান করতে
পারেনা।
আরো পড়ুনঃ
রক্তে সুগারের মাত্রা কত হলে স্বাভাবিক এই সম্পর্কে আগে আপনাকে জানতে হবে। যদি
একজন সুস্থ মানুষের গ্লুকোমিটারে ডায়াবেটিস মাপেন তাহলে রক্তে সুগারের মাত্রা
খাবারের আগে চার থেকে ছয় পয়েন্ট এবং খাবারের পর দুই ঘন্টা তখন ৮ পয়েন্টের নিচে
হলে তার স্বাভাবিক ধরা হয়।
যখন রক্তে সুগারের মাত্রা যদি ৭ পয়েন্ট এর উপরে চলে যায় তখন আমরা ডায়াবেটিস
বলি এই হিসেবে খালি পেটে ভরা পেটে খাবার দুই ঘন্টা পরে রক্তে সুগারের মাত্রা ১১.১
পয়েন্টের বেশি হলে তাকে ডায়াবেটিস ধরা হয় এক্ষেত্রে ডাক্তারের দ্রুত পরামর্শ
নিতে হবে।
আপনার ডাইবেটিস যদি ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে চলে যায় তখন কিন্তু আপনার জন্য বেশি
সমস্যা দায়ক হতে পারে যার কারণে আপনাকে ডায়াবেটিসের ওষুধ বা ইনোসলিন নিতে হবে।
মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে এবং সঠিকভাবে খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তন
করে জীবনযাপন চালাতে হবে তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
কি কি খেলে ডায়াবেটিস হয় না
ডায়াবেটিসে এমন একটি রোগ যা কিন্তু হলে একবার ভালো হয় না তাই রক্তে যেন কোনমতে
ব্লাড সুগার না বেড়ে যায় এর জন্য শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া অনেকের জন্যই
ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। অথচ সঠিক খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে এমন সমস্যা হওয়ার কথা
না মূলত সঠিক খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার তালিকা খুব
ছোট কোয়াটার প্রয়োজন হয় না।
বরং তারও চাইতে পেট পুরে খেতে পারেন শর্করা যেমন ভাত রুটি সিরিয়াল মিষ্টি পান্তা
এমনকি অনেক ফল খাওয়া নিষেধ আর এত ছোট খাদ্য তালিকা থেকে পেট ভরার মতো খাবারের
অভাব কম। আজকে আপনাদেরকে জানাবো কি কি খেলে ডায়াবেটিস হয় না সেই সম্পর্কে।
কাঁচা বা সেদ্ধ করে সবজি খাওয়া: ডায়াবেটিসের রোগীদের পেট ভরে খাওয়া
যাবেনা এটি একটি ভুল ধারণা আমাদের দেশে নানা রকমের সবজি পাওয়া যায় তার মধ্যে
আলু কিংবা শর্করাযুক্ত সবজিগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। কিন্তু টমেটো শসা বেগুন
মাশরুম এবং সবুজ সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত অধিকাংশ সবজি কাঁচা কিংবা
সেদ্ধ করে খাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ
যাদের বাসায় ওপেন আছে তারা চাইলে কিছু সবজির রোস্ট করে নিতে পারবেন বিষয়টি
অদ্ভুত বলে মনে হলেও কিন্তু এভাবে খেলে আপনার জন্য অনেক ভালো। কিছু সবজি যেমন
মাশরুম ফুলকপি এগুলো সিদ্ধ করে খেয়ে দেখতে পারেন ওভারের রোস্ট করার ক্ষেত্রে
সচরাচর অলিভ অয়েল ব্যবহার করা ভালো এতে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকার হবে।
ফাইবার পরিপূর্ণ খাবার: যে সকল ফল সবজিতে প্রচুর আশ্রয়েছে সে সকল ফল
অনেকটাই শর্করার অভাব মিটিয়ে দিতে পারে। বাদাম, মটরদানা বা সিমজাতীয় খাবার,
ভুট্টাতে প্রচুর ফাইবার থাকে। এছাড়া বাঙ্গি, তরমুজ জাতীয় ফলগুলো এক্ষেত্রে
উপকার হয়।
আর জাতীয় খাবার পেটে অনেকক্ষণ থাকে এবং পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে। এমন কি মিষ্টি
আলুর রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই মিষ্টি আলু খেলে
পেট ভরবে এবং ডায়াবেটিস বাড়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
চিনি ছাড়া চা: চায় প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় বিশেষ করে
ব্ল্যাকটি এবং গ্রিন টি বেশি উপকারে ক্ষেত্রে আমাদের দেশে গ্রিন টি এখন বেশ সুলভ
হয়ে উঠেছে। এবং বাঁচার এ ব্ল্যাকটি ও বিভিন্ন মানে থাকায় এখন তেমন সুলভ হয়নি।
তবে সাধারণ ব্লেন্ড চা দিয়ে রং চা বানিয়ে সকাল রাতে খেতে পারলে শরীর চাঙ্গা
থাকবে।
আরো পড়ুনঃ
সামান্য চর্বি জাতীয় খাবার: ডায়াবেটিসের রোগীদের যে চর্বি জাতীয় খাবার
খেতে নেই এমন কোন বাধা নেই। তবে অবশ্য অতিরিক্ত এবং ক্ষতিকর চর্বি শরীরে প্রবেশ
করানো যাবে না। অলিভ অয়েল দিয়ে কিছু সালাত কিংবা হালকার রোস্ট করা লিন মিট
খাওয়া যেতে পারে এতে আপনার কোন ক্ষতি হবে না।
প্রোটিন খাবার: ডায়াবেটিসের রোগীদের প্রোটিনও মানা নেই তবে আপনি কেমন
মাংস খাচ্ছেন সেটা মুখ্য বিষয়। লাল মাংস যেমন :গরুর মাংস একেবারে খাওয়া চলবে
না। তবে লিন মিট যেমন মুরগির মাংস, কোয়েলের মাংস এমন কি কবুতরের মাংস খাওয়া
গেলে ভালো হয়। বাজারে পিনাট বাটার পাওয়া যায়। তবে বাদাম খেতে পারলে ডায়াবেটিস
রোগীদের জন্য প্রোটিন পাবেন।
শরবত খাওয়া: মাঝে মাঝে আপনারও শরবত খাওয়ার ইচ্ছে হতে পারে। তবে সচরাচর
সব ফলে শরবত খাওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আপনার অনেক পছন্দ হলেও বাঙ্গির শরবত
কিংবা লেবু চিপে শরবত করে খাওয়া গেলে ভালো হবে। তবে চিনি মেশানো যাবে না পানি সব
সময় শরীরের জন্য উপকারী কিন্তু লেবু, বিট লবণের লেভারে আপনার জুস খাওয়ার
ইচ্ছেটা পূরণ করতে পারেন।
কোন বয়সে ডায়াবেটিস বেশি হয়
একজন ব্যক্তির খারাপ জীবনযাপন ও অনিয়মিত খাদ্য অভ্যাসের কারণে ডায়াবেটিস দ্রুত
বাড়ছে বর্তমানে সারা বিশ্বে বিপুল সংখ্যক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তরুণ
রায়ের শিকার হচ্ছেন এই বয়সের মানুষদের ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকা উচিত। একটি
দীর্ঘস্থায়ী রোগ হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে
পরিবর্তিত জীবনধারার কারণে আজ বিপুল সংখ্যক মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
ব্রিটেনের ডায়াবেটিস এসোসিয়ান এর মতে গত চার থেকে পাঁচ বছর রে ৪০ বছরের কম
বয়সীদের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঘটনা ২৩ শতাংশ বেড়েছে। এই অবস্থা শুধু ব্রিটেনের
নয় ভারতেরও। এখানেও ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে ডায়াবেটিস দ্রুত বাড়ছে আসুন
জেনে নেই বয়সের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি এবং তা প্রতিরোধ করার কি উপায়।
আরো পড়ুনঃ
টাইপ ১ ডায়াবেটিস সমস্ত ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হয় বা
বিশ্বব্যাপী ১১ থেকে ২২ মিলিয়নের ক্ষেত্রে। উপসর্গগুলো যেকোন বয়সে শুরু হতে
পারে তবে এটি শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। পাঁচ থেকে সাত বছর বয়সীদের
মধ্যে রোগ নির্ণয় কিছুটা বেশি সাধারণ এবং বয়সন্ধির বয়সের আশেপাশে অনেক বেশি
সাধারণ।
একটি রিপোর্ট অনুসারে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৪৫ বছরের পরে সবচেয়ে বেশি
বেড়ে যায়। আমেরিকা ১৪ শতাংশ মানুষের মধ্যে এই ধরনের ডায়াবেটিস পাওয়া গেছে তবে
সবার বয়স ৪৫ থেকে ৬৪ বছর এই সংখ্যা ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সের তুলনায় প্রায় ৫ গুণ
বেশি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি পারে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের লোকদের মধ্য পাওয়া যায়, সবার আগে
আপনার জীবনধারা উন্নত করুন। খুব বেশি মিষ্টি বানান তা খাবেন না। যতটা সম্ভব
তৈলাক্ত জিনিস থেকে দূরে থাকুন সবুজ শাকসবজি খান এবং জাঙ্ক ফুড, অ্যালকোহল এবং
সিগারেট খাওয়ার এগিয়ে চলুন।
শেষ কথা। ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা। দ্রুত ১০টি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
সম্মানিত পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে আজকের আর্টিকেল সম্পন্ন
করে জানতেও বুঝতে পেরেছেন ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা ও
দ্রুত ১০টি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে।আশা করি আজকের
আর্টিকেল পড়ে আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং তথ্যবহুল ও প্রকৃত বলে মনে
হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার পরিচিতজনদের সাথে
শেয়ার করতে ভুলবেন না।আমাদের আর্টিকেল সম্পর্কিত কোন প্রশ্নের মাধ্যমে থাকলে
আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন এ ছাড়াও আপনি সুস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা মূলক
বিভিন্ন আপডেট তথ্য পেতে চান তবে আমাদের ওয়েব সাইটে ফলো করে রাখুন এবং আমাদের
সঙ্গে থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url